বিজ্ঞাপন


স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারাঃ
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই গরীব দূঃখি অহসায় মানুষ নানান রকম ভাতার সুবিধা পাচ্ছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ নানান রকম ভাতার সুবিধা পাচ্ছে।
এই ভাতার টাকা মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এই ইউনিয়নের সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার কোন না কোন ভাতা সুবিধা পাচ্ছে। আজ এই মতবিনিময় সভা জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। কারণ এই ইউনিয়ন নৌকার ঘাটি, আওয়ামীলীগের ঘাটি। এখানকার আশিভাগ মানুষ নৌকার সমর্থক। নৌকা মানেই উন্নয়ন, নৌকা মানেই পাকা রাস্তা, নৌকা মানেই ঘরে ঘরে বিদ্যুত।
আমি নৌকার সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন আমি তার অমর্যাদা করিনি, বিশ্বাস ভঙ্গ করিনি। আজ কিছু ষড়যন্ত্রকারী বেইমান নেতা ইঞ্জি এনামুল হকের নামে দূর্নাম করেন,বদনাম করেন। আপনারা সংযত হয়ে যান। পালাবার রাস্তা খুজে পাবেন না। এখানে উপস্থিত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে বলব। আপনারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যান, মিটিং করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা মানুষের কাছে পৌছে দিন।
বৃহস্পতিবার উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোক নগর স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে আওয়ামীলীগ সরকারের সকল সুবিধাভোগিদের মাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জি এনামুল হক এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বাগমারার প্রয়াত কৃতি সন্তান হামিরকুৎসার বাসিন্দা সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ হোসেনের নাম স্মরণ করে বলেন, তিনি বাগমারাকে আলোকিত করেছেন। আজ শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করি, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাত নসীব করেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে হামিরকুৎসাকে আরো উন্নত করতে চাই।
মতবিনিময় সভায় প্রধানবক্তার বক্তব্যে জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাগমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনীল কুমার সরকার তার বক্তব্যে তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালামের নাম উচ্চারন না করে বলেন, তিনি মেয়র আমাকে ঠাকুর সম্মোধন করেন। কত বড় নেতা হয়েছো। আমি নাকি ১৩ হাজার ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। ভুল আমারই হয়েছে তাকে(কালামকে) মেয়র মনোনয়ন দিয়ে। আজ তুমি দুই কোটি টাকার গাড়িতে চড়ো। এ টাকা কোথা থেকে পেলে। রাজনীতি করতে গিয়ে আমিও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। নিজের কথা বলতে নেই। ছোট মুখে বড় কথা। আজ আমার নেতা ইঞ্জি এনামুল হকের নামে দূর্নাম করবে আর আমরা মুখে আঙ্গুল চুষবো। সাবধান হয়ে যান, সতর্ক হয়ে যান।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ আয়ুব আলী ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহসভাপতি মতিউর রহমান টুকু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি, মহিলা আ’লীগ সভানেত্রী কোহিনুর বেগম, ভবানীগঞ্জ পৌর আ’লীগ সম্পাদক আব্দুল জলিল, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মহসিন আলী, সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমূখ।
প্রতিমুহুর্ত্বের খবর দ্রুত পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন
বিজ্ঞাপন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত