রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর জন্য আশির্বাদ। তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। নিরাপদে আছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে স্বাধীনতা বিরোধীরা।
দেশ স্বাধীন হলেও জাতির জনক সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার মধ্যে দিয়ে জাতিকে র্ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়। জাতির পিতাকে হারিয়ে করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বুকভরা শোক নিয়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ মুজিবের আদর্শ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জাতির জনকের ৪৮ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাগমারায় ২০০৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করা হয়নি। ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় ঘটায়। যারা ২০০৮ সালে নৌকার বিরোধীতা করেছে তারা আবারও সেই খেলায় মত্ত হয়ে উঠেছে। বিএনপি-জামায়াতের সাথে আতাত করে আওয়ামী লীগের এমপির বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেছে। নৌকার নামধারীরা আজীবন নৌকার বিরোধীতা করে চলেছে। নৌকার বিরোধীতা করে লাভ নেই। বাগমারাবাসীর মনে নৌকা ঠাঁই করে নিয়েছে। যারা নৌকার বিরোধীতা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নৌকার বিজয় হওয়ার পর থেকে বাগমারার প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। অন্ধকার বাগমারা এখন আলোকিত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আবারও নৌকার বিজয় ঘটাতে হবে। নৌকার সাথে বিরোধীতা করা মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিরোধীতা করা। স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করা। যারা বেইমানী করবে তাদের ঠাঁই বাগমারায় হবে না। নির্বাচন এলেই কিছু ব্যক্তির ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়। বাগমারার জনগণ কোন ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ঘটানোর আহ্বান জানান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এবং শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিবেসে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, আফতাব উদ্দীন আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক, রেজাউল হক, মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, বাগমারা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল আলম রাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, এস.এম. এনামুল হক, হাচেন আলী, জাহেদুৃর রহিম মিঠু, মিজানুর রহমান, লোকমান আলী, শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন, উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, কৃষকলীগের সভাপতি মহসীন আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এরশাদ আলী, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর, আব্দুল আজিজ লিটন, ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম, সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহার লাভলী, যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহিনুর খাতুন, সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা এবং আপামর জনসাধারণ। স্মরণসভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারাঃ
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই গরীব দূঃখি অহসায় মানুষ নানান রকম ভাতার সুবিধা পাচ্ছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ নানান রকম ভাতার সুবিধা পাচ্ছে।
এই ভাতার টাকা মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এই ইউনিয়নের সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার কোন না কোন ভাতা সুবিধা পাচ্ছে। আজ এই মতবিনিময় সভা জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। কারণ এই ইউনিয়ন নৌকার ঘাটি, আওয়ামীলীগের ঘাটি। এখানকার আশিভাগ মানুষ নৌকার সমর্থক। নৌকা মানেই উন্নয়ন, নৌকা মানেই পাকা রাস্তা, নৌকা মানেই ঘরে ঘরে বিদ্যুত।
আমি নৌকার সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন আমি তার অমর্যাদা করিনি, বিশ্বাস ভঙ্গ করিনি। আজ কিছু ষড়যন্ত্রকারী বেইমান নেতা ইঞ্জি এনামুল হকের নামে দূর্নাম করেন,বদনাম করেন। আপনারা সংযত হয়ে যান। পালাবার রাস্তা খুজে পাবেন না। এখানে উপস্থিত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে বলব। আপনারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যান, মিটিং করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা মানুষের কাছে পৌছে দিন।
বৃহস্পতিবার উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোক নগর স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে আওয়ামীলীগ সরকারের সকল সুবিধাভোগিদের মাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জি এনামুল হক এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বাগমারার প্রয়াত কৃতি সন্তান হামিরকুৎসার বাসিন্দা সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ হোসেনের নাম স্মরণ করে বলেন, তিনি বাগমারাকে আলোকিত করেছেন। আজ শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করি, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাত নসীব করেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে হামিরকুৎসাকে আরো উন্নত করতে চাই।
মতবিনিময় সভায় প্রধানবক্তার বক্তব্যে জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাগমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনীল কুমার সরকার তার বক্তব্যে তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালামের নাম উচ্চারন না করে বলেন, তিনি মেয়র আমাকে ঠাকুর সম্মোধন করেন। কত বড় নেতা হয়েছো। আমি নাকি ১৩ হাজার ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। ভুল আমারই হয়েছে তাকে(কালামকে) মেয়র মনোনয়ন দিয়ে। আজ তুমি দুই কোটি টাকার গাড়িতে চড়ো। এ টাকা কোথা থেকে পেলে। রাজনীতি করতে গিয়ে আমিও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। নিজের কথা বলতে নেই। ছোট মুখে বড় কথা। আজ আমার নেতা ইঞ্জি এনামুল হকের নামে দূর্নাম করবে আর আমরা মুখে আঙ্গুল চুষবো। সাবধান হয়ে যান, সতর্ক হয়ে যান।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ আয়ুব আলী ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহসভাপতি মতিউর রহমান টুকু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি, মহিলা আ’লীগ সভানেত্রী কোহিনুর বেগম, ভবানীগঞ্জ পৌর আ’লীগ সম্পাদক আব্দুল জলিল, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মহসিন আলী, সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমূখ।
Leave a Reply