বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারাঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালকের দৌরাত্ম্যে ও চরম স্বেচ্ছাচারিতায় অসহায় হয়ে পড়ছেন রোগি ও তার স্বজনরা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে অত্যাচারি এই এ্যাম্বুলেন্স চালক সাইফুল ইসলামের নামে বিভিন্ন অভিযোগ করেন মুমূর্ষু রোগীর স্বজনরা।
জানা গেছে, তিনি আউট সোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত। সাইফুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ী চালক হওয়ায় তার এই হামবড়াভাব বলে জানান অনেকে।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি করে আসছেন। নানা কৌশলে রোগীর স্বজনদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। টাকা গ্রহণের রশিদ দেন না। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট অজুহাতে তাঁর নিজস্ব ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্সে চড়া মূল্যে ভাড়া নিতে বাধ্য করেন।
এ কাজে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় বখাটেদের কাজে লাগান। কোন মুমূর্ষু রোগীর স্বজন প্রতিবাদ করলে তাঁদের ভয়ভীতি এমন কী রোগী বহনে অপারগতা প্রকাশ করা হয়।
অভিযোগের সূত্রধরে সরজমিনে হাসপাতাল চত্বর সহ উপজেলায় তাঁর নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার প্রচারপত্রও দেখা গেছে বিভিন্ন দেয়ালে। একাধিক রোগীর স্বজনদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তারা ৫০০/- থেকে ১৫০০/- টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া গ্রহণের কথা জানিয়েছেন । অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের কথা সত্য নয়। তবে ২০০/১০০ টাকা বকশিস গ্রহণের কথা স্বীকার করেন তিনি।
বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, আমার কাছে কেউ অভিযোগ জানায়নি। রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক অভিযোগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার চাকরি থাকবে না।
প্রতিমুহুর্ত্বের খবর দ্রুত পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত