বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারাঃ
অপহরনের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও রাজশাহীর বাগমারায় ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। পুলিশের এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অপহৃিতার পরিবারসহ এলাকার সচেতন মানুষ। ওই ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরনকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ভানসীপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে (১৩) অপহরণ করে একই গ্রামের দুই সন্তানের জনক ভানসীপাড়া গ্রামের আক্কাছ আলীর বখাটে ছেলে বাবু হোসেন মরু (৩০)। জানা গেছে গত ২২ ফেব্রুয়ারী বাড়ি থেকে সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ঐ ছাত্রীকে পথের মধ্য একটি অপরিচিত সিএনজিতে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় মরু। ওই দিন সন্ধ্যায় মেয়েটির চাচা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একই গ্রামের বাবু হোসেন মরুকে আসামী কে বাগমারা থানায় অপহরনের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরনকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপহৃত স্কুল ছাত্রীর সন্ধান না পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের দুর্বল তৎপরতার কারনেই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ। অভিযোগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাবু হোসেন মরু একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থেকেই অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে জানা গেছে। পুলিশের গাফিলতি ও অবহেলার কারনেই স্কুল ছাত্রীর জীবন নষ্ট হতে যাচ্ছে বলে এলাকার সাধারন মানুষ ধারনা করছেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশের অবহেলা না থাকলে তথ্য প্রযুক্তির যুগে কোন আসামীই পালিয়ে থাকতে পারে না। তারা পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরনকারী বাবু হোসেন মরুকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার মনে নেই। তার পরেও বিষয়টি দেখছি বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রতিমুহুর্ত্বের খবর দ্রুত পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত