নানা অজুহাতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস - দৈনিক বাগমারা
সোমবার , ৬ মার্চ ২০২৩ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলাধুলা
  6. চাকরি
  7. জাতীয়
  8. জীবনযাপন
  9. তথ্য ও প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বাগমারা উপজেলা
  12. বিনোদন
  13. রাজনীতি
  14. শিক্ষা ও ক্যাম্পাস
  15. সম্পাদকীয়

নানা অজুহাতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস

প্রতিবেদক
Dainik Bagmara
মার্চ ৬, ২০২৩ ১২:৩১ অপরাহ্ণ

বিজ্ঞাপন

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা:

বাগমারা সহ আশেপাশের এলাকায় নিত্যপন্যের দাম বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের লোকজন। তাদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরানোর অবস্থা। স্থানীয় বাজার ঘুরে ও ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাজারের এই বেহাল অবস্থা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখানে প্রায় সব ধরণের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সবজি ছাড়াও এখানে ব্রয়লার মুরগীর ডিম প্রতি হালিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

এছাড়া স্থানীয় হোটেলগুলোতে প্রতিটি খাবারের দাম বেড়েছে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ। আগে ১০ টাকার রুটি এখন ১৫ টাকা, ৭ টাকার পরোটা এখন ১২ টাকা। সেই সাথে কমেছে খাবারের মানও। ভোক্তারা বলছেন হোটেল মালিকরা প্রতিটি খাবারের দাম বৃদ্ধি করলেও খাবারের মান অনেক কমে গেছে।

এদিকে মুরগীর ডিমের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগীর দামও। ব্রয়লার মুরগী ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। দেশী মুরগী ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা এবং সোনালী ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর হাট ঘুরে এমন চিত্রই লক্ষ করা গেছে। এসব হাটে রসুন ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা । এছাড়া মাঝারী আকারের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা ও বড় আকারের ইলিশ ১ হাজার ৫শ থেকে ১ হাজার ৮ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি রুই কাতলা ৩৫০ টাকা, শিং ৫৫০, চিংড়ি ৭৫০, কই ৩৫০, সিলভার কার্প বড় সাইজ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ও গরুর মাংস এখন আকাশ ছোয়া। গরীবের জন্য এখন এ দুটো জিনিস কেনা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

ভবানীগঞ্জ বাজারে সবজি কিনতে আসা চাঁনপাড়া মহল্লার সাবেক পুলিশ সদস্য বেলাল হোসেন জানান, বাজারে হঠাৎ করেই সবধরনের জিনিসের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহ থেকে এখন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। গোড়াউন মোড়ের চা বিক্রেতা মোনায়ের হোসেন বলেন, সকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত চা বিক্রি করে ৫ থেকে ৬শ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়ে সাত সদস্যের পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। তার উপর মাস শেষে দোকান ভাড়া ও বিদ্যুত বিলের টাকাও জমা থাকছে না। বার বছর ধরে চা বিক্রি করে সংসার চালাই । এর আগে কখনও এত দূর্ভোগে পড়িনি।

গোড়াউন মোড়ের ভ্যান চালক মজনু বলেন, সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভ্যান চালিয়ে ৫ থেকে ৬শ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়ে সাত সদস্যের পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। একই এলাকার অটো চালাক আব্দুস সামাদ জানান, মালিকের অটো ভাড়া নিয়ে দিন শেষে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিন মুদির দোকাণে বাঁকির পরিমান বেড়েইে চলেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান জানান, বাজার মনিটনিং ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ করে থাকেন। তারা চাইলে প্রশাসন সহযোগিতা করে। তারপর এ বিষয়ে আমরা খোজখবর নিয়ে দেখব।

Facebook Comments Box

প্রতিমুহুর্ত্বের খবর দ্রুত পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত

সর্বশেষ - বাগমারা উপজেলা

x
error: Content is protected !!