বিজ্ঞাপন
বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ছাত্রলীগের পদ পেতে পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ গ্রুপ ও যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলো শিশির কুমার, আপন ইসলাম, জাহিদ হাসান, রানা এবং শুভ্র কুমার। আহতদের মধ্যে কয়েক জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত শুক্রবার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদের সাথে পৌর ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পরে তারা হরিতলা মোড়ে পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মেয়রের সাথে দেখা করেন।
এ সময় মেয়র গ্রুপের ছেলেরা দলীয় কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দেয়। কার্যালয়ের বাহিরে অবস্থান নেয়া যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলামের গ্রুপের ছেলেরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে মেয়র গ্রুপের কিছু বিতর্কিত সুবিধাভোগী নামধারী ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা বাহিরে অবস্থান করা ছাত্রলীগ কর্মীদের উপরে হামলা করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বাঁধে। এক পর্যায়ে মেয়র আবুল কালাম আজাদ নিজে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সর্বশেষ দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়।
এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার সন্ধ্যার পর হরিতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আসাদুল ইসলামের গ্রুপের সদস্য তাহেরপুর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শিশির কুমার ও আপন ইসলাম। ওই সময় তাদেরকে সামনে পেয়ে আগের দিনের ঘটনার জের টেনে বেধড়ক মারপিট করে ছাত্রলীগের লেবাস পরে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইউসুফ এর ছেলে শামীম, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি দুলাল এর ছেলে তমাল, ১ নং ওয়ার্ডের বাবুল খার ছেলে সাফিন ও ৭ নং ওয়ার্ডের সাহিন সহ ৮-১০ জনের একটি সুসঞ্জিত বাহিনী। তারা সবাই মেয়রের ছত্রছায়ায় অবস্থান করেন। ওই সময় তাদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে আরো কয়েক জনকে পিটিয়ে জখম করে মেয়র গ্রুপের সদস্যরা।
এদিকে তাহেরপুরপৌর যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেনি।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, তাহেরপুর পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটু মতোভেদ দেখা দিয়েছে। সেটা নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এটা যেহেতু নিজেদের ভিতরের ঘটনা তাই মেয়র সাহেবকে বলা হয়েছে বিষয়টি মিটিয়ে দেয়ার জন্য। তবে এটা নিয়ে কোন পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রতিমুহুর্ত্বের খবর দ্রুত পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত