![](https://dainikbagmara.com.bd/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বাগমারা প্রতিনিধি
আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত ২৬ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ। রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনে নৌকা প্রতীক পান তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ। নৌকা প্রতীক ঘোষণার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠে আবুল কালাম আজাদ সহ তার কর্মীরা। নৌকা প্রতীক ঘোষণার পরই বাগমারা জুড়ে তান্ডব শুরু করে তার আবুল কালাম আজাদের কর্মীরা।
সেই সাথে নৌকা প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারও একই ভাবে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকী প্রদান করেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আরেক প্রাথী তিন বারের সফল সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে হুমকী প্রদান করে আসছিল। একের পর এক আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এর ইলেকশন ইনকোয়ারী কমিটির নিকট লিখিত আবেদন করা হয়।
ওই আবেদনের পরিপেক্ষিতে সোমবার ইলেকশন ইনকোয়ারী কমিটির পক্ষ থেকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং গোয়ালাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের নিকট শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজকের মধ্যে সেই শোকজ নোটিশের কারণ দেখিয়ে যাথাযথ জবার দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ গত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তাহেরপুর পৌর আওয়ামলীগের দলীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপিকে ১৮ ডিসেম্বরের পর বাগমারায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
সেই সাথে ২ ডিসেম্বর গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার আরেকটি মতবিনিময় সভায় বলেন যে ১৮ ডিসেম্বরের পর ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপিকে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে প্রবেশ করবে দেয়া যাবে না। তাদের দেয়া এ সকল বক্তব্য এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বহিঃবিশ্বের পাশাপাশি সারা দেশে গ্রহণ যোগ্য করতে কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে এমন ভীতিকর বক্তব্য এবং হুমকী সুষ্ঠ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম, আবু সুফিয়ান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পক্ষ থেকে রাজশাহীর যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইলেকশন ইনকোয়ারী কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নৌকার প্রার্থী সহ এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কারণ দর্শা্নোর নোটিশ প্রদান করেছে ইলেকশন ইনকোয়ারী কমিটি।