বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারাঃ
বাগমারায় কিছু দোকানী এলপি গ্যাসের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ও নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। অর্ডার মোতাবেক গ্যাস দিতে চাচ্ছে না কোম্পানী। ইত্যাদি অজুহাত তুলে তারা ইচ্ছামত গ্যাসের দাম আদায় করছেন। এছাড়া ভবানীগঞ্জ বাজারের কথিপয় দোকানী আগের রেটে গ্যাস কিনে মওজুত করে পরে বাড়তি মূল্যে ওই গ্যাস বিক্রি করছেন। তারা বাড়তি মূল্যের রশিদও দিতে চাচ্ছেন না ক্রেতাদের। এ নিয়ে বিক্রেতা ক্রেতার মধ্যে অহরহ ঘটছে বাগবিতণ্ডা ।
সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, মাদারীগঞ্জ ও হাটগাঙ্গোপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে গ্যাস সচারাচর পাওয়া যাচ্ছে না। এই সুযোগে কোনো কোনো ব্যবসায়ী উচ্চ মূল্যে গ্যাস বিক্রি করছেন। এতে করে গ্যাস ব্যবহারকারী পরিবারের লোকজনেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি ভাবে যমুনা এলপি গ্যাসের সাড়ে বারো কেজির প্রতি বোতলের দাম ১৪৯৮ টাকা নির্ধারন করা হলেও স্থানীয় ডিলারদের এ বোতল কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৫২০ টাকায়। তাদের কাছে থেকে খুরচা বিক্রেতারা কিনছেন প্রতি বোতল ১ হাজার ৫শ ৫০ টাকায়। ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চাঁনপাড়া মহল্লার বেলাল হোসেন জানান, হটাৎ তার সিলিন্ডারের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ায় বাজারে গ্যাস আনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় বাজারের ডিলাররা জানান, চলতি মাসের শুরু থেকেই গ্যাস সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে কিছু বাড়তি মূল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এদিকে এই বাড়তি মূলে গ্যাস বিক্রি করলেও কোন বিক্রেতা ওই বাড়তি দামের কোন রশিদ দিতে চাচ্ছেন না।
ভবানীগঞ্জ বাজারের এক কলেজ শিক্ষক জানান, গত সপ্তাহে তিনি ভবানীগঞ্জ বাজারের এক ডিলারের কাছে থেকে বসুন্ধরা গ্যাসের একটি বোতল কিনেছেন। তার কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি গ্যাস ক্রয়ের রশিদ চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান বিক্রেতা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগি কারো কোন অভিযোগ এখনো আসেনি। তবে বিষয়টি এখন আমরা জানলাম। এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিমুহুর্ত্বের খবর দ্রুত পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত