কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স থেকে টাকাগুলো একত্রিত করে গণনা শুরু করেছেন মসজিদ কমিটির লোকজন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, তিন মাস পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এখন টাকাগুলো গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।
তিনি আরও জানান, গণনার কাজে মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা, সোনা, রুপা বা বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে সেটি বলা যাবে।
তিনি আরও জানান, মসজিদ ও কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয় এ ফান্ড থেকে।
পাগলা মসজিদের ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ প্রতিদিন এসে দান করেন এ মসজিদে। এখানে দান করার পরে নাকি তাদের আশা পূরণ হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুলাই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন দানবাক্সগুলোয় জমা পড়েছিল ১৬ বস্তা টাকা। ওই সময় তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।