বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জে সুর্যের হাসি ক্লিনিকে দরকারি পরীক্ষা ছাড়ায় তাড়াহুড়া করে বাচ্চা প্রসব করানোর সময় তাহরিমা (৩৭) নামে এক প্রসূতির মৃত্যর অভিযোগ পাওায় গেছে। তাহরিমা উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মাষ্টার আলতাফ হোসেনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর প্রসূতির বাচ্চা বের করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় তাহরিমার মৃত্যু হয়। জরায়ু ছিড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন বন্ধ করতে না পেরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রাতে রোগীর অভিভাবককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। সে খানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে শ্রীপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আলতাফ হোসেন তার গর্ভবতি স্ত্রী তাহরিমা বেগমের পেটের ব্যথা জনিত বিষয়ে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজারের আল আমীন টাওয়ারের ২য় তলায় অবস্থিত বেসরকারী সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নেয়। সে খানে তাকে ভর্তি নিয়ে তার প্রসব ব্যাথা বলে বাচ্চা হওয়ার ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। রাত ৮টার দিকে সিজার না করে নরমালি বাচ্চা হবে বলে তাকে প্রসব কক্ষে নেয়। সেখানে বাচ্চা হওয়ানোর সময় তারা জোরাজোরি করে বাচ্চা বের করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পরে তার রক্তক্ষরন বেশী হতে লাগলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলা হয়। রোগীকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসা দিয়ে কিছুতে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হলে ডাক্তারা তার নাড়ি ছেঁড়ার ব্যাপারে নিশ্চিন হন। তার জরায়ু ও নাড়ি ক্ষতিগ্রস্থের বিষয় নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই ক্লিনিকের ম্যানেজার মাকছুদা বলেন, প্রসব ব্যাথার কারণে তাকে নরমালি প্রসব করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। বাচ্চা হবার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হবার কারণে তাকে রাজশাহীতে নেয়ার কথা বলায় তারা চলে গেছেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
এছাড়া ওই ক্লিনিকে কার পরিচালনায় চলে জানতে চাইলে তিনি ডাঃ. অসীম নামে এক ডাক্তার থাকেন বলে জানান। অপর দিকে ওই ক্লিনিকের ম্যানাজার মাকছুদা জানান, তাহরিমার আগের সমস্য ছিল। চিকিৎসক না দেখিয়ে ডেলিভারি করলেন কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি কেন হলো তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।