বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে অনৈতিক সুবিধার লোভ দেখিয়ে টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ফোন করে নানা প্রলোভনে টাকা দাবি করছে প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রটি এমন সুবিধা নেয়ার জন্য আগের ইউএন’র সময়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে কোন লাভ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিভিন্ন চেয়ারম্যান ও অন্যদেরকে ইউএনও’র মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টাকালে বিষয়টি প্রকাশ হয়। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে ফেইসবুক আইডি থেকে সতর্কবার্তা পোস্ট করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান।
উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মিলন জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২.২০ মি: ইউএনও’র সরকারি মোবাইল নম্বর ০১৭০৯৯৮৯৫৩০ (এর আগে ৮৮ থাকলেও + ৩ যোগ) থেকে ফোন আসে ইউএনও’র ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাম দেই। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে জানান, ‘আপনাকে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য একটি বড় ধরনের বরাদ্দ দেয়া হবে। এই জন্য আপনাকে ডিসি স্যারের একটা নম্বর দিচ্ছি (০১৬০২৬০২১০৩) তার সাথে কথা বলেন। এ সময় কথা গুলো কাপানো যা মনে হচ্ছিল কম্পিউটারাইষ্ট করার মত। কথা গুলো শুনেই সন্দেহ হলে আমি বুঝতে পারি এটা কোন প্রতারকচক্র। আমি কথা গুলো পুরো না শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করি। আমি নম্বরটি নিশ্চিত হয়ে ইউএনওকে ফোন করি এবং ইউএনও জানিয়েছেন এমন আরও কয়েকজনে নাকি ফোন করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানালে বিষয়টি ধাপ্পাবাজি বলে আমি নিশ্চিত হয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ বাগমারা এর দাপ্তরিক মোবাইল নাম্বার ০১৭০৯৯৮৯৫৩০ ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে মর্মে জানা গিয়েছে। আমি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া কেউ যদি আমার নম্বর থেকে এমন বিভ্রান্তিকর ফোন পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরকে বলব তারা যেন আমাকে জানান।’ সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা করেছেন।
এদিকে এই ধরনের উপজেলা মোবাইল নম্বর ক্লোন আগের ঘটনাও রয়েছে। তৎকালী ইউএনও ফারুক সুফিয়ানের সময় ইউএনও’র সিএ রবিউল ইসলামের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে অর্থ দাবির ঘটনা ছিলো। একই ভাবে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টাকালের বিষয়টি প্রকাশ হয়।