বাগমারা প্রতিনিধি
প্রচন্ড তাপদাহে এমনিতে অসস্তিতে মানুষ। তার উপর ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জনজীবন। বোরো আবাদ নিয়ে শংকিত কৃষক। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চিন্তিত স্কিম মালিক ও স্থানীয় সেচ কমিটি। বৈদ্যুতিক মটর চালুর পর জমিতে পানি পৌঁছার পূর্বে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বার বার চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাবে বলে সূত্রে জানা গেছে। বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা যাওয়ায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে অহরহ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাইস মিলের একজন ড্রাইভার জানান, বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় যেখানে এক ঘন্টা লাগার কথা, সেখানে ডবল সময় লেগে যাচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগিতে লিপ্ত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সেহরি, ইফতারি, তারাবি সহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বিদ্যুৎ না থাকলে অসন্তোষ্টি প্রকাশ করছেন সর্ব সাধারণ। এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারে রাইচ কুকার বা বৈদ্যুতিক চুলায় ভাত রান্না করেন গৃহ বধূরা। বিশেষ করে ভোরে চুলায় ভাত চাপিয়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে বিড়ম্বনা পড়তে হচ্ছে গৃহিণীদের।
প্রচন্ড তাপদাহ, বোরো মৌসুম,পবিত্র রমজান মাসে স্বাভাবিক ভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের বামনীগ্রামের আজাহার আলী জানান, আমরা শ্রমজীবী মানুষ, সারাদিন কাজ কাম করি, বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় গরমে রাতে ঘুমাতে পারছি না।
মাহফুজুর রহমান বলেন, সেহেরি, ইফতার পূর্ব সময়ে সব ধরনের কলকারখানা, সেচ যন্ত্র প্রায় বন্ধ থাকে। এ সময় লোডশেডিং থাকার কথা নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাগমারা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা মান্দা, মোহনপুরেও বিদ্যুতের বেহাল দশা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে ভুক্তভোগীদের। বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজি থেকে রেহাই চান সর্ব সাধারণ। গত দুই দিন থেকে লোডশেডিং অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে।
সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস হাট গাঙ্গপাড়ার এজিএম পদ অবসর জনিত কারণে শূন্য রয়েছে। এ এলাকার গ্রাহকরা তাদের সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করতে পারছেন না। স্থানীয় গ্রাহকরা এ পদ পূরণে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মুঠোফনে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বাগমারা জোনাল অফিসের সদ্য যোগদানকৃত ডিজিএম মোস্তফা আমিনুর রাশেদ জানান, তাহেরপুর সহ বাগমারায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেখানে আমি ঘন্টা ভেদে ১২ থেকে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। তাঁর কন্ঠেও হতাশার সুর পরিলক্ষিত হয়েছে।