বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করার অভিযোগে দুইটি ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুইটি ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে এতে নাখোশ হয়েছেন ফার্মেসীর কতিপয় মালিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী ঔষধ প্রশাসনের উদ্যোগে ভবানীগঞ্জ বাজারে গোডাউন মোড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসনের পক্ষে রাজশাহী দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক শরিফুল ইসলাম। বাজারের গোডাউন মোড়ে রাকিব ফার্মেসি ও ড্রাগ মিউজিয়াম নামের দুইটি ঔষুধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও বিনামূল্যের (সিম্পল) পাওয়া যায়। পরে তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে তারা মেয়াদ উত্তীর্ণ ও চিকিৎসকের কাছ থেকে সিম্পুল কিনেছেন বলে স্বীকার করেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট মাহবুবুল ইসলাম রাকিব ফার্মেসীর ১০ হাজার টাকা এবং ড্রাগ মিউজিয়ামের ২০ হাজার টাকার অর্থদন্ড দেন। অভিযানের সময় ঘটনা স্থলে অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় রাকিব ফার্মেসীর রাকিবকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দপ্তরে আনা হয়। পরে দণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঔষধের দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখা মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনে বলে কয়েকজন ঔষধ ক্রেতা দাবি করেছেন। তারা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার বেশ কিছু দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় এমন অভিযানকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযানের পরে বাংলাদেশ কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির বাগমারা শাখা তাদের সংগঠনের অর্ন্তভূক্ত দোকানগুলো বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম জানান, দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিনামূল্যের ঔষধ পাওয়া গেছে। যা কোনো ভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই অভিযানের মাধ্যমে তাদের সর্তক হওয়ার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়ম মেনে অভিযান চালানো ও অর্থদন্ড করা হয়েছে।