বিজ্ঞাপন


মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ
বজ্রপাত নিরোধে সরকারি রাস্তায় রোপিত তাল গাছ এখন অপরুপ শোভায় ফুটে ওঠেছে। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মনে একটু স্বস্তির দেখা মিলে এই ঘুঘু ডাঙ্গার সুবাতাস।
উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মাথা ভাঙ্গা এলাকাটি এখন মিনি ঘুঘু ডাঙ্গা নামে পরিচিত। এটি এখন সকল পাখীদের অভয়াশ্রমও । তবে পাখিদের মধ্যে ঘুঘুদের বিচরন বেশি হওয়ায় এর নাম হয়েছে ঘুঘু ডাঙ্গা।
এমন প্রাকৃতিক শোভায় ও পাখিদের বিচরণে এখানকার পরিবেশ মনোমুগ্ধকর। তাইতো ভ্রমন পিয়াসীরা এখনে ছুটে আসেন একটু স্বত্তির নিঃস্বাস ফেলতে। এক সময় এই মাথা ভাঙ্গা এলাকাটি দূর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত ছিল। দুটি রাস্তার সংযোগস্থল, ঝুঁটিপূর্ন মোড় ও দ্রুত গতিতে চলাচলের কারণে প্রায় দূর্ঘটনা লেগে থাকত। এখন রাস্তা প্রশস্থ, তাল গাছ রোপণ, বসার ব্রেঞ্চ নির্মাণ ও ভ্রমণ পিয়াসুদের আগমনের কারণে দূর্ঘটনা নেই বললেই চলে। বিকেল হলেই এখানে বেড়াতে আসেন কিশোর- যুবকের দল। কুষকরাও কাজের ফাঁকে তাল গাছের ছায়ায় এসে বিশ্রাম নেন।
তাদেরই বসার জন্য এখানে উন্নত টাইলস লাগানো বেশ কিছু ব্রেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ব্রেঞ্চে পাথরে খোদাই করে মনিষীদের স্মরনীয় বানী লিখা রয়েছে। কিশোর যুবকরা এসব মূল্যবান স্মরনীয় বানীকে সাথে নিয়ে সেলফি তুলছেন এবং ফেসবুকে পোষ্ট করছেন। এসব ব্রেঞ্চ নির্মাণ, স্মরনীয় বানী লিখা ও কিছু ফুলগাছ রোপন করায় এলাকায় প্রকৃতি প্রেমিক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ছোট ভাই মনিমুল হক।
তিনি ঘুঘু ডাঙ্গার সজ্জিতকরণ ছাড়াও এলাকার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুদৃশ্য গেট, শহীদ মিনার, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার সীমানা গেট,মাইল ফলক, হাটা-বাজার ও রাস্তার মোড়ের বটবৃক্ষের গোড়া বাঁধাই এবং রাস্তার ধারে সবার ব্রেঞ্চ নির্মাণ করেছেন। এই সব প্রতিটি নির্মাণে রয়েছে মহা মনিষীদের মূল্যবান বানী। যা মানুষকে ভাবিত করে, জাগ্রত করে ও প্রেরণা জোগায়।
প্রতিমুহুর্ত্বের খবর দ্রুত পেতে পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন
বিজ্ঞাপন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত