বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারায় ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে থানা, হাটগাঙ্গোপাড়া এবং তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মোসলেম আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোনায়েম হোসেন, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সরদার, ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাইমুর ইসলাম, তাহেরপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্কাছ আলী, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, নরদাশ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক, একই ইউনিয়নের ১ নং আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম। আট জনকে মুনসুর রহমানের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সেই সাথে আলমগীর হোসেনের দায়েরকৃত অপর একটি মামলার এজাহার নামীয় আসামী উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার তাদের আদালতের মাধমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ।
মামলা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পূর্ব মুহুর্ত উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেন।
ওই দিন রাজশাহী-৪, বাগমারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। হামলাকারিরা কয়েকজনকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এছাড়া ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এছাড়াও ওই দিন উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন এলাকার দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এই ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম প্রায় দুই হাজারের অধিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় পৃথকভাবে মোট ছয়টি মামলা হয়। এসব মামলায় এর আগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।