বাগমারা প্রতিনিধি
গত ৫ আগস্ট ছাত্র -জনতার ওপর হামলার অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারার সেই আক্কাস মাস্টার ওরফে চিকনা আক্কাসকে (৫০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দুলালীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কনোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
রাজশাহী-৪( বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সহযোগী ছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে দলীয় কোনো পদ না থাকলেও সকল কর্মসূচিতে তাঁর সবর উপস্থিতি ছিল।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, আক্কাস মাস্টার পুলিশের তালিকাভুক্ত চরমপন্থী। হামলা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, হত্যাপ্রচেষ্টাসহ কমপক্ষে ১০ টি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানের পর আত্নগোপনে ছিলেন। ওই অবস্থায় থেকেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকনা আক্কাস তাঁর অনুসারীদের নিয়ে যাত্রাগাছি বাজারে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে থানার ওসি ছদ্মবেশে সেখানে যান। কাছে গিয়ে তাঁর মুঠোফোনে কল দিলে বেজে ওঠার পর তাঁকে সনাক্ত করে ধরে ফেলা হয়।
গত ৫ আগস্ট ভবানীগন্জ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্র- জনতার ওপর হামলা করে। গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনছুর রহমানকে গুলি করার সঙ্গে তিনি জড়িত। স্থানীয়রা জানান, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। জালাল উদ্দিন নামের স্থানীয় বিএনপি নেতা জানান, আক্কাস মাস্টার এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে কনোপাড়া এলাকার ভিপি জমিতে থাকা প্রায় ২০লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট তাঁকে উপজেলা সদর ভবানীগন্জ এলাকায় ধারালো অস্ত্রসহ মহড়া দিতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে গত ৪ নভেম্বর কনোপাড়া এলাকার ১৩ একর দিঘির নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রতিপক্ষের ওপর হমলা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি।
ওসি আরও জানান, আক্কাস মাস্টার খুবই ধুরন্ধর। বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকলেও
নিজেকে গ্রেপ্তারের বাইরে রেখেছেন। আজ তাঁকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।